আজ শুক্রবার, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন

না.গঞ্জে পরিবহন

না.গঞ্জে পরিবহন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট : ‘ভেজা বেড়াল গোফের ফাঁকে হা হা করে হাসছে বেশ/পোড়া মবিলের কলঙ্কে লজ্জিত আজ বাংলাদেশ’ সহ নানা শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন ও প্লাকার্ডবহন করে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে পরিবহন শ্রমিমদের নৈরাজ্য ও কালি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন করে শহরের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন থেকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্য পরিবহন শ্রমিক ও তাদের ইন্ধনদাতাদের বিচার দাবি তরে বক্তব্য রাখা হয়। একই সাথে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা একই দাবিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) আবারও শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করবে।

মানববন্ধনে মৌলভী বাজারে অ্যাম্বুলেন্সে শিশু নিহত এবং নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখা হয়। রাষ্ট্র প্রধানসহ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টদের কাছে এ নিয়ে জবাবও চেয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা কিছু ফেস্টুনে এই সম্বলিত নানা শ্লোগান ব্যবহার করেছে। এগুলোর মধ্যে, ‘বোনের শরীরে কালি কেন? জনগণকে জিম্মি কেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস ভাংচুর কেন? অ্যাম্বুলেন্সে আটক শিশু হত্যা কেন? ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে দাবি করেন, নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য পরিবহন শ্রমিকেরা সারা দেশে ব্যাপক নৈরাজ্য চালিয়েছে। তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে দেশব্যাপী জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার দায়ভার কে নিবে? কোনো শ্রমিক নেতা এই দায় দায়িত্ব নিবে? নাকি কোনো পরিবহন মালিক নিবে?

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আগে তারা তাদের ক্ষমতার প্রদর্শন করছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে, তারা চাইলেই সরকারকে, দেশকে জিম্ম করতে পারে। তারা দেখিয়েছে কীভাবে নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রীদের গায়ে কালি মেখে দিল।

শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর যে আইন করা হয়েছে তা পরিবহন শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে পরিবহন মালিকরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি তাদের দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় না।

তারা শ্রমিক নেতা পলাশের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি বলেছেন শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালন করছে। এই যদি হয় শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট, এই যদি হয় শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ তাহলে এ সব করলো কারা? আমরা দাবি করছি যারা এ ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের বিচার করা হোক।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ